শীত শুরু তো মশার উপদ্রব অন। সন্ধ্যা থেকে ঘরে মশার আনাগোনা শুরু হয়। মশা তাড়াতে আমরা অ্যারোসল স্প্রে করি, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আবার মশারা দল-বলে ফিরে আসে।
রাতে কয়েল দিয়ে ঘুমাই অনেকে, কিন্তু জানেন কি, গবেষকরা বলছেন একটি কয়েল ১০০টি সিগারেটের চেয়েও ক্ষতিকর।এছাড়া অসতর্কতায় কয়েলের আগুন থেকে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাহলে উপায়! নিশ্চিন্তে নির্ভর করুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে। মশা তাড়িয়ে থাকুন স্বস্তিতে।
যা করতে হবে:
নিম পাতা/তেলনিম পাতা
নিমের তেল পোকামাকড় দূর করে। একইভাবে মশা তাড়াতেও এটি কার্যকর। এটি কর্পূরের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরের এক কোনায় রেখে দেওয়া যেতে পারে। এর গন্ধেই মশা পালাবে। শুধু নিমপাতাও ঘরে রেখে দিতে পারেন, মশার উপদ্রব কমবে।
কর্পূর
মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যেকোনো ফার্মেসীতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। দুদিন পর পানি পরিবর্তন করুন। আগের পানিটুকু ফেলে দেবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ার যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।
লেবু ও লবঙ্গ
লেবু ও লবঙ্গএকটি লেবু মাঝ থেকে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না।
রসুন
রসুনের তীব্র গন্ধ মশা তাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য কয়েকটি রসুনের কোয়া থেতলে পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। ওই পানি সারা ঘরে স্প্রে করে দিলেই মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
এছাড়াও রসুন, কাঁচা মরিচ, জিরা, নিমপাতা, কাঁচা হলুদ ভালো করে বেটে মিশিয়ে দিন। এবার তা সাদা সুতির কাপড়ে বেঁধে