ব্যাটসম্যান ০ করুক আর ১০০ করুক আউট হলে তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরতেই হবে। যুগের পর যুগ ধরে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে।
কিন্তু মহৎ উদ্দেশ্যে ক্রিকেটের এই নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনছে অস্ট্রেলিয়া। একটি বিশেষ ক্ষেত্রে ০ রানে আউট হলেও প্যাভিলিয়নে ফিরতে হবে না ক্রিকেটারদের!
কী সেই বিশেষ ক্ষেত্র? আসলে এই নিয়ম শুধু ক্ষুদে ক্রিকেটারদের জন্য প্রযোজ্য। অনূর্ধ্ব-১০ প্রতিযোগিতাগুলোতে ক্ষুদেরা ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো রান নাকরে আউট হলেও তাদের আউট দেওয়া হবে না! আউট হতে হলে কমপক্ষে ১ রান করতেই হবে। এই দারুণ নিয়মটি যার মস্তিষ্কপ্রসুত তার নাম ইয়ান রেনশ। অজি ক্রিকেটার ম্যাট রেনশর বাবা।
শুন্য রানে আউট না দেওয়ার নিয়মটি চালু করার পেছনে তার দারুণ মানবিক কিছু যুক্তি আছে। প্রচলিত নিয়মে শিশুরা বিরক্ত হয়ে উঠতে পারে। কারণ তারা আউট হওয়া বা না হওয়ার গুরুত্ব পুরোপুরি বুঝতে পারে না। তারা ব্যাটিং করতে চায়।
চার-ছক্কা মারতে চায়। এভাবেই ক্রিকেটের প্রতি শিশুদের আগ্রহ জাগে। কিন্তু কোনো রান না করেই যদি কাউকে আউট ঘোষণা করা হয়; তবে তার ছোট্ট মনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
এই বিরূপ প্রভাবে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে একটি শিশু। যে কারণে তার মাঝে রানের ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য এই প্রয়াস। এছাড়াও দলের খেলোয়াড় সংখ্যায়ও পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে সিএ। ১১ জনের বদলে ৭ জন করে খেলোয়াড় থাকবে প্রতি দলে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৩০ ওভার থেকে ২০ ওভারে নামিয়ে আনা হবে। উইকেটের দৈর্ঘ্য প্রচলিত ২০.১ মিটারের বদলে ১৬ মিটারে নামিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি বাউন্ডারি সীমানা কমে গিয়ে হবে ৪০ মিটার।