বগুড়ার শাজাহানপুরে ভাটা শ্রমিক দুই কিশোর ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৬) মুখ বেঁধে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেতগাড়ি মধ্যপাড়ায় এ ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেতগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ জানিয়েছেন, জনৈক ইলেকট্রিশিয়ান স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে শাজাহানপুরের বেতগাড়ি মধ্যপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাদের শিশুকন্যা ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী বাড়ির পাশে খেলা করছিল।
এ সময় প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে ইটভাটা শ্রমিক আসিফ (১৫) ও আতিক (১২) ওই শিশুকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত শিশুটি কান্নাকাটি করতে করতে বাসায় আসে।
রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে বাবা-মা তাকে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেনের কাছে নিয়ে যান। ওই চিকিৎসক জানান, রক্ত দেখে তিনি দ্রুত শিশুটিকে শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
বুধবার হাসপাতালে শিশুর বাবা দাবি করেছেন, আসিফ ও আতিক তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।
স্কুলের প্রধানশিক্ষক আবদুল মজিদ এ ঘটনায় জড়িত দুই সহোদরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোরশেদ আলম জানান, ওই দুই ভাই ইটভাটা শ্রমিক। শিশুটিকে ধর্ষণ বা যে ঘটনায় ঘটানো হোক না কেন- তা অবশ্যই অপরাধ।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, তিনি শুনেছেন ধর্ষণ নয়, দুষ্টামির ছলে ওই শিশুর গোপানাঙ্গে কাঠি ঢুকিয়ে দেয়ায় রক্ত বের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে।
তিনি বলেন, শিশুর পরিবার মামলা দিলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।