রাজশাহীর বাঘায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাতিজিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী কর্তৃক কুপিয়ে জখম করা চাচার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, উপজেলার বাউসা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন থেকে উত্ত্যক্ত করত উপজেলার দাঁড়পাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন।
এই ঘটনায় চাচা মসলেম উদ্দিন প্রতিবাদ করায় তাকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। দীর্ঘ এক বছর রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
মসলেম উদ্দীনের ছেলে নাসির উদ্দীন বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর আমার চাচাত বোনকে মিলন হোসেন নামের এক যুবক উত্ত্যক্ত করত। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হতে হয়েছে বাবাকে। তারপর থেকে আমার বাবা দিন দিন অসুস্থ হতে শুরু করে। ফলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে মারা গেছে।
মসলেম উদ্দীনের ভাই আলম হোসেন হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, উত্ত্যক্তকারী মিলন হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে বাউসা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ঘটনাটি এলাকার লোকজনের কাছে বিচার চাইতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মিলনের বাড়ির সামনে একা পেয়ে মিলন হোসেন, আলতাফ হোসেন, আতাউর রহমান, আছিয়া বেগম, শিউলি বেগম, রিপা খাতুনসহ ৭/৮ জন ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের মেয়ে স্থানীয় এক স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় মিলন হোসেন উত্ত্যক্ত করত। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা আমার ভাই মসলেম উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করার কারণে নিহত হতে হলো। ঘটনার পরের দিন আমার আরেক ভাই আলম হোসেন বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান রেজা বলেন, শুনেছি মসলেম উদ্দীন নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে। তবে এই মামলার চার্জশিট হয়ে গেছে। তারপর অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেব।