ধর্ষণের শিকার ১১ বছর বয়সী এক শিশুর কোলজুড়ে এসেছে আরেক কন্যাশিশু। গত রবিবার শেরপুর জেলা হাসপাতালে জন্ম নেওয়া কন্যাশিশুসহ স্কুলছাত্রীকে নিয়ে স্বজনরা পড়েছে বিপাকে।
১০ মাস আগে ধর্ষণ মামলা হলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি অভিযুক্ত মিঠু মিয়াকে। দরিদ্র পরিবারটি মামলা প্রত্যাহারের চাপসহ হুমকির মধ্যে আছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
স্বজনরা জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের স্কুলছাত্রীকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি অপহরণ করে প্রতিবেশী মিঠু মিয়া। এরপর বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। প্রায় দুই মাস পর অসুস্থ শিশুটিকে পাওয়া যায় বাড়ির কাছেই। ধর্ষক মিঠু মিয়া তাকে সেখানে ফেলে গেছে বলে জানা যায়। ষষ্ঠ শ্রেণির এ ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। এ ক্ষেত্রে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ মামলার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা ছিল দায়সারা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আদালতে মামলা চলার সময়েই শিশুর গর্ভধারণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
আর শিশুর চিকিত্সা ও মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে দরিদ্র বাবা হিমশিম খেতে থাকেন। শেরপুর জেলা বারের তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল এ পরিবারের পাশে দাঁড়ান। চিকিত্সা ও আইনি সহায়তা দেন তিনি। গত ২৬ নভেম্বর শেরপুর জেলা হাসপাতালে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করে ধর্ষণের শিকার শিশুটি। পরদিন নবজাতকসহ ধর্ষিতাকে আদালতে নিয়ে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসলেহ উদ্দিন মিয়া সার্বিক ঘটনা শুনে অভিযুক্ত মিঠু মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
ভিকটিমের বাবা বলেন, ‘কামরুল উকিলের সহায়তায় চিকিত্সা হয়েছে। সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ ওষুধপত্র দিয়েছে। এভাবে অন্যদের সহায়তায় চলতে হচ্ছে। মেয়ের সর্বনাশের পর এখন তার কোলে শিশু বাচ্চা। আসামিরা হুমকি দিচ্ছে, মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি ন্যায়বিচার চাই। ’