স্বামীর চাপের মুখে শেষপর্যন্ত চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন গড়িয়ার সারদা পার্কের আত্মঘাতী গৃহবধূ অনন্যা সাঁই। এমনকী, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের কাছে যে কোনও একটা চাকরি জোগাড় করে দিতে অনুরোধও করেছিলেন উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তর অনন্যা।
গত শুক্রবার সকালে সারদা পার্কের ফ্ল্যাট থেকে অনন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, চাকরি নিয়ে স্বামীর কাছ থেকে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছিল দিনের পর দিন। একেবারে শেষের দিকে বাবা-মায়ের কাছে কিছুটা ইঙ্গিত দিলেও পরিস্থিতি যে এতটা খারাপ জায়গায় পৌঁছেছিল, সে কথা খুলে বলেননি অনন্যা। খবর এবেলার।
রবিবার তাঁর ভাই অরিজিৎ কোনার বলেন, ‘‘দিদি ভীষণ চাপা স্বভাবের ছিল। স্বামীর অত্যাচারের কথা আমরা সেভাবে জানতে পারিনি। দিদি কিছু কিছু কথা বাবা-মা’কে বলত। তা থেকে আমরা কিছুটা আঁচ করতাম। কিন্তু দিদির উপর যে এতটা অত্যাচার হচ্ছে তা যদি একটু আগে বলত, তাহলে হয়তো এই পরিণতি হতো না।’’