মাত্রাতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয়ের কারণে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হারে দরিদ্র হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘ট্র্যাকিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ : ২০১৭ গ্লোব মনিটরিং রিপোর্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে ২০১১ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। সরকারি তথ্যানুযায়ী, সে সময় দেশে জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার। সে হিসাবে ৬৩ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।
একই কারণে ২০১১ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ১ শতাংশ (৫ কোটি ২৫ লাখ মানুষ) দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। এ সংখ্যা বিশ্বব্যাপী চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া মানুষের প্রায় অর্ধেক। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা এসব মানুষের দৈনিক আয় গড়ে ৮৪ রুপি। এ ছাড়া প্রতি বছর অন্তত ১ কোটি মানুষ অতি দরিদ্র হয়ে পড়ছে।
ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে ২০১১ সালে বিশ্বের মোট ৯ কোটি ৭০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। এসব মানুষের ৬০ শতাংশই দক্ষিণ এশিয়ার। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় চিকিৎসা ব্যয়ের কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া মানুষের হার ধীরে ধীরে কমছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ২০০০ সালে ৬ কোটি ২৪ লাখ এবং ২০১০ সালে ৫ কোটি ৭১ লাখ মানুষ চিকিৎসা ব্যয়ের কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে।