রংপুর রাইডার্স ব্যাটিং অর্ডারে গেইল, ম্যাককলাম, জনসন চার্লসের মত টর্নেডো তারকারা খেলছেন। পুরো বিপিএলে ঘুমিয়ে থাকা এই তিন তারকাই জেগে উঠেন ফাইনালের ঠিক আগের দুটি ম্যাচেই। ব্যাটের তান্ডব দেখিয়েছেন তিন জনই।
ধারনা করা হচ্ছিল এমন ফাইনালে গেইল ম্যাককালামদের থামাতে মোহাম্মদ আমিরকে একাদশে রাখবেন সাকিব। কারন বর্তমান বিশ্বের যদি একজন পেসারের নামও আসে সেখানেও আমিরের নাম নিবেন অনেকেই।
কিন্তু এমন মারকুটে ব্যাটসম্যানদের সামনে আমিরকে বাদ দিয়ে অনভিজ্ঞ পেস বোলিং আক্রমন নিয়ে মাঠে নামলেন সাকিব আল হাসান। হয়তো তিনি চেয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াতে যাতে রংপুরের বিশাল টার্গেটও তাড়া করে জেতা যায়। কিন্তু সেই চেষ্টা বুমেরাং হল সাকিবের।
এছাড়াও মাঠে প্রথম ওভারে মেডেন উইকেট ও প্রথম দুই ওভারে ৭ রান দেওয়ার পর আর বোলিংই করতে আসলেন না সাকিব। যখন গেইল তান্ডব চলছে তখন তিনি নিজেকে নিরাপদ দুরত্বে রেখে বল দিচ্ছিলেন অনভিজ্ঞ সাদ্দাম, তানবিরদের। অথচ সাকিব ট্রুনামেন্টের সেরা উইকেট শিকারি বোলার। নিজে গেইল তান্ডব থেকে বাঁচার জন্য সাকিবের এমন আচরন সমালোচিত হয়েছে যথেষ্ট।
ম্যাচ শেষে সাকিব সেটা স্বীকারও করেছেন যে, গেইলের অমন তান্ডবের কারনেই বোলিংয়ে আসেননি তিনি। কারন সেসময় বোলিং করা কষ্টকর। কিন্তু বাকি যারা বোলিং করেছে কষ্টকর তো তাদের জন্যেও ছিল। তাহলে কেন নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সাকিব? কেন যোদ্ধার মত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে আসলেন না ? বাংলাদেশের অধিনায়ক হলে কিভাবে নেতৃত্ব দিবেন এই সাকিব আল হাসান?
যে অধিনায়ক নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় তার অধিনে বাংলাদেশ খেলবে? ভাবতেই অবাক লাগছে না !