কোমর ব্যথা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও একটি বিরাট স্বাস্থ্যগত সমস্যা। বেশির ভাগ লোকই জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পর্কে এ রোগীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে-
দাঁড়ানো : বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে অনেক সময় ব্যথা বাড়ে। তাই একই স্থানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা চলবে না। প্রয়োজনে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ালে ব্যথা কম অনুভূত হয়। করসেটও ব্যবহার করা যেতে পারে।
হাঁটা : বেশি হাঁটলে কোমর ব্যথা বাড়ে। তাই বিশ্রাম নিয়ে হাঁটতে হবে এবং উঁচু হিলযুক্ত জুতা পরিহার করতে হবে।
বসা : বেশিক্ষণ চেয়ারে বসে থাকলে বা চেয়ারে বসে সামনের দিকে ঝুঁকে অনেকক্ষণ কাজ করলে কোমরে ব্যথা হয়। তাই কোমরের পেছনটা চেয়ারের পেছনের সাথে লাগিয়ে খাড়াভাবে বসতে হবে। হাতলওয়ালা চেয়ারে বসা ভালো। প্রয়োজনে করসেট ব্যবহার করা যেতে পারে। মাঝে মধ্যে উঠে একটু হেঁটে বা ডিভাইনে শুয়ে রিলাক্স করে আবার বসে কাজ করা যেতে পারে।
সামনের দিকে ঝোঁকা : সামনের দিকে ঝোঁকা, কোনো ভারী জিনিস উঠানো বা বহন করা পরিহার করতে হবে। মহিলাদের জন্য ঘর ঝাড়ু দেয়া, বাথরুমে বালতি উঁচু করা নিষেধ। হাত থেকে কলমটা পড়ে গেলে দাঁড়িয়ে না তুলে বসে তোলার অভ্যাস করতে হবে।
বিছানা ও বালিশ : শক্ত সমান বিছানায় শুতে হবে। ফোমে বা অসমান বিছানার ঘুমালে কোমরের মাংসপেশির সঙ্কোচন ও ব্যথা হয়।
ওজন কমানো : ভারী শরীরের রোগীদের ওজন কমাতে হবে। উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থাৎ ওষুধ, ব্যায়াম, পরামর্শ, ফিজিওথেরাপি ইত্যাদি সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় বেশির ভাগ কোমর ব্যথার রোগীই ভালো হয়ে যান বা ভালো থাকেন। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার রোগীদের বিষণœতানাশক ওষুধ ওসাইকোথেরাপির প্রয়োজন হয়।