শাকিব-অপুর ডিভোর্স প্রসঙ্গ শেষ না হতেই নতুন করে শুরু হয়েছে তাদের দেনমোহর বিতর্ক। এবার বাস্তবেও কাবিন জটিলতায় তারকাদ্বয়। বিষয়টি নিয়ে শাকিব বলেন, অপু নতুন করে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। ৭ লাখ ১ টাকাকে সে উল্টে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা বানাতে চাইছে। দেনমোহর যদি ১ কোটি টাকাও হয় এরপর ভাঙা টাকা হিসেবে ৭ লাখ টাকা কেমন করে হবে। নিশ্চয়ই একটি রাউন্ড ফিগার হওয়ার কথা। তার এই জালিয়াতির অপরাধে তাকে আইনগতভাবে শাস্তি পেতে হবে।
অপরদিকে অপু বলছেন, যদিও আমার কাছে কাবিননামার কোনো কপি নেই, তারপরও মনে পড়ছে কাবিননামায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকাই উল্লেখ ছিল। আমাকে ডিভোর্স দিলে এই অঙ্কের টাকাই দিতে হবে। অপর এক বক্তব্যে শাকিব খান বলেন, আমি আর কোনো ঝামেলার মধ্যে নেই। আইনই সব দেখবে। আমি এখন শুধু কাজের মধ্যেই ডুবে থাকতে চাই। আমার কাছে এখন কর্মজীবনই মুখ্য।
শাকিব অপুকে বিচ্ছেদের বার্তা পাঠিয়েছেন। স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করবেন না বলেই জানান। এ নিয়ে শুরু হয় নানা তর্ক-বিতর্ক।শাকিব খানের ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে অপু বলেছেন, শাকিবের সিদ্ধান্ত মেনে নিতাম যদি একই ধর্মের হতাম। আমাকে ও জোর করে ধর্মান্তরিত করেছে, বিয়ে করেছে। তাই তার এই অমানবিক সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেব না। ডিভোর্সের বিষয়টি শুনে অবাক হয়েছি। কারণ গত মাসের ২৮ তারিখে সন্তান জয়কে নিয়ে শাকিবের বাসায় গিয়েছি। জয়কে শাকিবের কাছে রেখে দুদিনের জন্য গ্রামের বাড়ি বগুড়া গিয়েছি। শাকিবের মা, বাবাকে বলেছি আমি নামাজ, রোজা, হজ আদায় করব আর শাকিবের সঙ্গে সুখে সংসার করব। তারাও আমার কথায় সম্মত হয়েছিলেন। এরপর এমন কী ঘটনা ঘটল যে, সে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল?
শাকিবের কাছ থেকে ডিভোর্স লেটার পাওয়ার পর অপু আরও বলেন, শাকিবের আপত্তির মুখে তিনবার অ্যাবরশন করাতে হয়েছে তাকে। জয় যখন গর্ভে আসে তখন অ্যাবরশন করানোর জন্য আমাকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠায় শাকিব। সেখানকার চিকিৎসক জানান, যেহেতু আগে তিনবার অ্যাবরশন হয়েছে আর নতুন করে কনসেপ্টের সময় ৪ মাস হয়েছে, সেহেতু অ্যাবরশন করানো ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর শাকিব আমাকে কলকাতা পাঠায় অ্যাবরশন করানোর জন্য। সেখানকার চিকিৎসকরাও অ্যাবরশন করতে অস্বীকার করেন। তখন আমি সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নেই। আর এতেই শাকিব আমার ওপর খেপে যায়। তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।