শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৭ মণের খোকা বাবু

ডেস্ক নিউজ : কালো সাদার মিশেল রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ষাঁড়টিকে আদর করে নাম দেয়া হয়েছে ‘খোকা বাবু’। যার ওজন প্রায় ২৭ মণ। খোকা বাবু খুবই শান্ত একটি ষাঁড়। টাঙ্গাইলের নাগরপুরের নঙ্গিনাবাড়ির মো. আবুল কাশেম মিয়ার আদরযত্নে লালনপালন করেছেন ষাঁড়টি। ষাঁড়টি খুবই শান্ত ও রোগমুক্ত। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের নঙ্গিনাবাড়ির কাশেমের বাড়িতে এসে খোকা বাবুকে দেখে যান। খামারি কাশেম বলেন, গরুর ফিট খাবার খাওয়ানোর সাধ্য আমার নেই। তাই নাগরপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ দফতরের ডা. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, আপনি গরুর ওজন এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ালে অর্থ ও ঝুঁকি দুটোই কমবে এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদিত হবে।

খোকা বাবুর দামের প্রত্যাশায় কাশেম বলেন, দাম বাজারে ক্রেতা ও গরু সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল, তবে আমি ১২ লাখ টাকা চাচ্ছি। খোকা বাবুর খাদ্যতালিকার মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, খড়, ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খৈল, নালি, চালের কুড়া, লবণ, পরিমাণমতো পানি। নিয়মিত গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা, ‘খোকা বাবুর’ ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত হাঁটানো, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেয়া ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো। ‘খোকা বাবুকে’ মোটাতাজা করার ব্যাপারে কোনো প্রকার ওষুধ ও ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান তিনি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশিক সালেহীন বলেন, গরুটি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালনপালন করা হয়েছে। গরুটির জাত হলো ফিজিয়াম। এ জাতের গরু আমাদের দেশে এখন খামারিরা পালন করছেন। আমার জানামতে, নাগরপুর উপজেলায় সবচেয়ে বড় গরু এটি।

এই বিভাগের আরো খবর