শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক :  বাংলাগানের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন আজ। পৈত্রিক বাড়ি সাতক্ষীরায় হলেও সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম হয় ঢাকায়। তার ৫ বোনের মাঝে ৪ বোনই গান করেছেন। তারা হলেন ফরিদা ইয়াসমিন, ফওজিয়া খান, নীলুফার ইয়াসমিন এবং সাবিনা ইয়াসমিন। তার বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন যখন গান শিখেন দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে তখন ছোট্ট সাবিনাও উপস্থিত থাকতেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে একটানা ১৩ বছর তালিম নিয়েছেন। মাত্র ৭ বছর বয়সে স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নেন। ছোটদের সংগঠন খেলাঘরের সদস্য হিসেবে রেডিও ও টেলিভিশনে গান গান নিয়মিত।

১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং ‘মধুর জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে তিনি প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্ন প্রকাশ করেন। তবে ‘নতুন সুর’ সিনেমাতে প্রথম গান করেন তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে।

সাবিনা ইয়াসমিন চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের ভুবনে বিচরণ করছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ বোধ হয় এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রেখে চলতে পারেননি। গত কয়েক দশকে তিনি সর্বমোট কত হাজার গান গেয়েছেন তার সঠিক হিসেব হয়তো সাবিনা নিজেও দিতে পারবেন না, তবে মরমী শিল্পী সেই আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে একালের কোন উঠতি গায়কের সাথেও অবিরাম গেয়ে চলেছেন একের পর এক গান। সুযোগ পেয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে গান গাওয়ার, বিখ্যাত কিশোর কুমারের ও মান্না দের সাথেও ডুয়েট গান গাওয়ার। ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে ‘ডক্টরেট’ও লাভ করেছেন। সাধারণত চলচ্চিত্রের গানেই তিনি বেশী কন্ঠ দিয়েছেন। চলচ্চিত্রে প্রায় ১২ হাজারের মতো গান করছেন তিনি। সেরা নারী প্লেব্যাক গানের শিল্পী হিসেবে ১৩বার বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে রেকর্ড করেছেন কোকিলকণ্ঠি খ্যাত গুণী এই শিল্পী।

প্রখ্যাত এই শিল্পী আজকের এ বিশেষ দিনটি কাটাচ্ছেন পারিবারিক আবহে।

এ প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দিনটি এলেই আব্বা-আম্মা এবং বোনদের খুব মিস করি। সবার ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণার কথা মনে করে আমি সে কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করি। প্রতি বছরই জন্মদিনে দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী শুভেচ্ছা জানান। এর মধ্য দিয়েই সবাই আমার প্রতি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। এই মায়ার বন্ধন আর অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়েই তো বেঁচে আছি। সবার প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালোবাসা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

উল্লেখ্য, সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ১৯৮৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর