শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের ঝুঁকি ভাতা দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের

ডেস্কনিউজঃ করোনাকালে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের জীবনের ঝুঁকি ভাতার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘দেশের যেকোনো সংকটকালের মতো করোনার এই কঠিন সময়েও সাংবাদিকরা তাদের অসাধারণ ভূমিকা এবং দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো করণীয় না থাকার পরও জনগণকে এ সম্পর্কে বাস্তব পরিস্থিতি অবহিত করে অতি গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালনকালে তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করেছেন। এর মধ্যেই ছয়জন সংবাদকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২৪৪ জন সংবাদকর্মী।’

ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, করোনার এই সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন দেশের টেলিভিশন মাধ্যমটি বিকশিত হওয়ার পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ। দীর্ঘ ৫০ বছর তিনি রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি টেলিভিশনে কাজ করে অনেক ক্ষেত্রেই টিভি অনুষ্ঠানের একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। তাঁর চলে যাওয়ার প্রভাব মিডিয়া দীর্ঘকাল অনুভব করবে।

মোস্তফা কামাল সৈয়দ, দৈনিক সময়ের আলোর সিটি এডিটর হুমায়ুন কবির খোকন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিনিয়র সাংবাদিক সুমন মাহমুদ, দৈনিক ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার এবং ক্যাবের সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসলাম রহমান, দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র সাব-এডিটর মাহমুদুল হাকিম অপু এবং দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফটো সাংবাদিক এম মিজানুর রহমান খান- তাদের সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

নেতারা আরো বলেন, ‘সাংবাদিকরা যেহেতু করোনার এই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, এ কারণে তাদের জন্য যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনার এই সময়ে বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, অনেক মিডিয়া হাউজ তাঁর কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না- এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করছে। অবিলম্বে সব ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে, ছাঁটাইকৃতদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাদের বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, যেহেতু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় পর্যাপ্ত ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।’

‘অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে; সত্য প্রকাশের কারণে সাংবাদিক গ্রেপ্তারও হয়েছেন। আমরা গ্রেপ্তারকৃত সব সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি এবং ভবিষ্যতে তাঁদের ওপর যেকোনো রকম হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, যেকোনো সংকটের সময়ে মুক্তমত প্রকাশ বাধাগ্রস্ত করলে সেটা সেই সংকটকে আরো ঘনীভূত করে এবং মানুষের জীবনের বিপর্যয় ঘটায়।’

বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়্যারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী।

এই বিভাগের আরো খবর