বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে রফিক হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে নিহতের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে রফিক হত্যা মামলার পালিয়ে থাকা সকল আসামীদের গ্রেফতার ও তাদের ফাঁসির দাবীতে নিহতের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।
১৫ জুন বুধবার বিকেলে শেরপুরের নকলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম। এসময় নিহতের পরিবার ও তার আত্মীয় স্বজনরাসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শেরপুর সদর উপজেলার চক আন্ধারিয়া গ্রামের চায়রা বিলের মাছের প্রজেক্টের পূর্বপাশের পুকুর পাড়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী খন্দকারপাড়া (মরাকান্দা) গ্রামের রফিক মিয়াকে। পরে এ ঘটনায় ২৯ মার্চ শেরপুর সদর থানায় নিহতের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ৪জনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। মামলা নং-৭০।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম আরো বলেন, থানায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান স্বাক্ষী নুরুজ্জামান। সে শেরপুর জজ কোর্টে রেকর্ড সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের সাথে নুরুজ্জামান জড়িত। নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার ছেলে হাফিজুর রহমানকে বাদী বানিয়ে নিজে প্রধান স্বাক্ষী হয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা আমি জানতে পেরে বিজ্ঞ সিআর আমলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রধান আসামী করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। পিটিশন মোকাদ্দমা নং- ৮৯/২০২০। আমার স্বামীকে যারা স্বরযন্ত্র করে হত্যা করেছে তাদের উপযুক্ত বিচার এবং ফাঁসি চাই।
এদিকে নুরুজ্জামান বলেন, আমাকে প্রধান স্বাক্ষী করে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেন নিহত ছেলে হাফিজুর রহমান। কিন্তু তিন মাস পর আমাকে প্রধান আসামী করে মামলা করেন কোর্টে। তারা বলতেছে এই হত্যা কান্ডের সাথে আমি জড়িত। এতদিন তারা কি করল। তারাতো আমাকে প্রথমেই আসামী দিতে পারতো। তারা যাই করতেছে তা অন্যোর পরামর্শে ও অর্থের লোভে। আমার কাছে টাকা চেয়েছিল বাদী পক্ষ। দেইনি বলে আমাকে ফাঁসানোর চেস্টা করতেছে তারা। হত্যা কান্ডের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

এই বিভাগের আরো খবর