বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শেরপুরের আকাশে উড়ছে বাহারি রঙের ঘুড়ি

 

শেরপুর প্রতিনিধি: ঘুড়ি উড়ানো আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় খেলা। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিকেল হলেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ ভবনের ছাদ এবং গ্রাম-গঞ্জের মাঠে-ময়দানে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে বড়রাও ঘুড়ি উড়ানোয় মেতে উঠছেন। এমন উৎসবমুখর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে শেরপুরের নকলা উপজেলাতেও।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিকেল হলেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খোলা মাঠ, বাসার ছাদে ঘরবন্ধি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ঘুড়ি উড়ানো উৎসব করে আসছে। প্রতিযোগিতা করছে ঘুড়ির সুতোয় কাটাকাটি। এ যেন করোনাকালে অবসাদ দূর করার এক বিনোদন।

এর ধারাবহিকতায় ১৯ জুলাই রোববার বিকেলে নকলা উপজেলার ২নং নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা গ্রামের অনুষ্ঠিত হয় বাহাড়ী রঙের ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা। তরুন সমাজ সেবক ও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী সুমাইয়্যা প্লাজার স্বত্তাধীকারী মো. উজ্জল মিয়া এ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্তিত ছিলেন।

এ বিষয়ে নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম লাভলু জানান, ঘুড়ি উড়ানো গ্রামাঞ্চলের একটি প্রাচীন উৎসব। তবে কালের প্রবাহে তা বিলুপ্তির পথে। কিন্তু করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরের চার দেয়ালে বন্ধি হয়ে পড়েছে। তাই বাসার ছাদ ও বাড়ির খোলা মাঠে মুক্ত আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা বিনোদন উপভোগ করছে। শুধু ওরা নয়, ওদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা বয়সের ঘরবন্ধি মানুষ।

প্রসঙ্গত, ঘুড়ি এক প্রকারের হাল্কা খেলনা, যা সুতা টেনে আকাশে উড়ানো হয়। সাধারণত পাতলা কাগজের সঙ্গে বাঁশের চিকন কঞ্চি লাগিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন নকশার এসব ঘুড়ি। নকশা অনুযায়ী এসব ঘুড়ির নাম হলো- ডাক ঘুড়ি, সাপ ঘুড়ি, মাছ ঘুড়ি, ব্যাঙঘুড়ি, মানুষ ঘুড়ি, ঘুড্ডি ঘুড়ি, ঈগল ঘুড়ি ও তারা ঘুড়ি, ডুল ঘুরি।

এই বিভাগের আরো খবর