শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুধু ভারত নয় লাদাখ সমস্যা মেটাতে চীনকেও সহায়তা করবে ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে চীনের সঙ্গে ভারতের যে টানাপোড়েন বা লড়াই চলছে, তাতে সবসময় নয়াদিল্লির পাশেই আছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এতদিন লাদাখ ইস্যুতে নিঃশর্তে ভারতের পাশে থাকার বার্তাই দিয়ে এসেছে আমেরিকা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পাল্টাল। লাদাখে ভারত-চীনের সংঘর্ষ নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মুখ খুলেই একপ্রকার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।  তিনি চাইছেন এই সমস্যা মেটাতে দুই দেশের সঙ্গেই আলোচনা করতে। দুই দেশকেই সাহায্য করতে।

শনিবার নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত ও চীনের মধ্যেকার পরিস্থিতি খুব জটিল। ওরা একে অন্যের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি, আবার আমরা চীনের সঙ্গেও কথা বলছি। আমরা ওদের সঙ্গে আলোচনা করব। ওদের এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করব।”

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। তুলনায় চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক এখন তলানিতে, তা সত্ত্বেও আমেরিকার লাদাখ ইস্যুতে এই ‘মধ্যস্থতার’ প্রস্তাব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য আগেও একইরকমভাবে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু সে প্রস্তাব দুই দেশই খারিজ করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই লাদাখে চীনা আগ্রাসনের বিরোধী ছিল আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একেবারে প্রথম সপ্তাহ থেকেই লাদাখ পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, লাদাখে চীনা সেনার আগ্রাসন সমর্থনযোগ্য নয়। চীন যেভাবে প্রতিবেশীদের হেনস্তা করছে, এবং তাদের উপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে, আমেরিকা তার তীব্র বিরোধিতা করে। কিন্তু শনিবারের ট্রাম্পের বক্তব্য খানিকটা অন্যরকম বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। তাদের ধারণা, আমেরিকা আর নিঃশর্তভাবে ভারতের পাশে থাকার পক্ষে নয়। সেজন্যই হয়তো দু’দেশের সঙ্গেই আলোচনা চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এই বিভাগের আরো খবর