শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লকডাউনের আশীর্বাদ নিয়ে শুরু হচ্ছে ইলিশের মশুম

ডেস্কনিউজঃ ইলিশ মারা দের গ্রামে গ্রামে এখন সাজ সাজ রব। ট্রলার, নৌকা, ভুটভুটগুলোতে রঙের পোঁচ পড়েছে। নাইলনের জাল বোনা হচ্ছে। বদর বদর করে যাত্রা শুরু হবে পনেরো জুন। ওই দিনই শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরার মরশুম। দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি আর হাওড়ার ইলিশ শিকারিরা বেরিয়ে পড়বেন জলযাত্রায়। জলের রুপালি শস্যের সন্ধানে। গত দুবছর ইলিশের ফলন ভালো হয়নি।

হাজার পাঁচেক মেট্রিক টন ইলিশ উঠেছিল কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, ডায়মন্ডহারবার, দীঘা, ফারাক্কা, শ্যামপুরের রূপনারায়ণ, দীঘা কিংবা শঙ্করপুর মোহনায়। পশ্চিমবঙ্গ মৎস্যনিগমের হিসেব অনুযায়ী এবার লকডাউনের ফলে যেহেতু নদীতে লঞ্চ, জাহাজ কিংবা ভুটভুটি বেশি চলেনি তাই গঙ্গা এবং বিভিন্ন নদীতে দূষণের মাত্রা বেশি হয়নি। তাই, প্রজননের ঋতুতে মিষ্টি দূষণহীন জল পেয়ে ইলিশের ঝাঁক বেশি আসবে। এবার তাদের হিসাব অনুযায়ী আঠারো থেকে কুড়িহাজার মেট্রিক টন ইলিশ উঠবে। তাই, লকডাউন বেশ কিছু মানুষের কাছে অভিশাপ হলেও ইলিশ শিকারীদের কাছে আশীর্বাদ হতে পারে। অন্যবার পনেরো এপ্রিল থেকে চৌদ্দ জুন পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এবার লকডাউনের ফলে চব্বিশ মার্চ পর্যন্ত নদীতে বা গঙ্গায় মাছ ধরেনি কেউ। ইলিশ সাইজে বেড়েছে। যদিও ছাব্বিশ সেন্টিমিটারের কম সাইজের ইলিশ ধরায় নিষেধ আছে।

কিন্তু মৎস্যজীবিরা মনে করছেন এবার ইলিশ আকারে বাড়ায় সেই সমস্যা হবে না। কারণ খোকা ইলিশ বা জাটকা এবার ধরার কোন সুযোগ কারও ছিলো না। নব্বই মিলিমিটারের জাল নিয়ে এখন মাছ শিকারীরা তৈরি। এবার বাঙালির পাতে তারা ইলিশ তুলে দিতে পারবেন বলে আশা। গত কয়েকবছর বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ আসছে না। এবার এপার বাংলার ইলিশেই ভরসা। বাবুদের পাতে ইলিশ তুলে দিয়ে লকডাউনের আশীর্বাদ মাথায় মেখে নিজেদের ভাত – রুটির সংস্থানের স্বপ্ন দেখছেন প্রায় দু লক্ষ ইলিশ শিকারি।

এই বিভাগের আরো খবর