শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যন্ত্রনাদায়ক মুখের ঘা থেকে মুক্তি, ৪টি সহজ উপায়ে।

মুখের ভেতর ছোট ছোট দানা। ঝাল কোনো খাবার খেলেই যন্ত্রণা বেড়ে যায়। মনে হতে পারে, এটি কঠিন কোনো অসুখ। আসলে মুখের ভেতরের ঝিল্লি আবরণ কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখে ছোট ছোট দানার মতো ঘা দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু বারবার মুখে ঘা হলে এবং তা না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকের মুখেই আলসার বা ঘা হয়। কখনও গালের ভিতরে, কখনও মাড়ির গোড়ায় কখনও আবার ভিতরের ঠোঁটের নীচে। ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন, আলসারের বিড়ম্বনা। খাবার তো কোন দূর, ক’দিন পানি খাওয়াও ঝকমারি হয়ে দাঁড়ায়।

মুক্তির ‘মুশিকল আসান’ আপনার নাগালেই। নীচে তেমনই চার ঘরোয়া টোটাকা।

ফটকিরি:

আলসারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে হাতের কাছে থাকা ফটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। পরিষ্কার এক টুকরো ফটকিরি পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে আলসারের জায়গায় ঘষুন। দিনে দু-বার করে ফটকিরি ব্যবহার করলে নিশ্চিত উপকার পাবেন।

বেকিং সোডা:

মুখের ভিতরের আলসার নিরাময়ের ক্ষেত্রে বেকিং সোডা খুব ভালো টোটকা। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে একচামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ভালো করে কুলকুচি করুন। দিনে বার কয়েক এ ভাবে বেকিং সোডা দিয়ে মুখ ধুলে, আলসারের হাত থেকে নিস্তার পাবেন।

টি ব্যাগ:

মুখের আলসারে টি ব্যাগও অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ। চা পাতার ট্যানিক অ্যাসিড আলসারের যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দেয়। চা তৈরির পর টি ব্যাগটি ফেলে না-দিয়ে, ঘায়ের জায়গায় গরম গরম সেঁক দিন। স্বস্তি পাবেন।

টি ট্রি অয়েল:

যে কোনও ওষুধের দোকানে আপনি টি ট্রি অয়েল পেয়ে যাবেন। মুখের আলসার নিরাময়ে টি ট্রি অয়েলও ভালো কাজ দেয়। একটা পাত্রের ৯০% জল নিয়ে ১০% টি ট্রি অয়েল মেশান। দু-বার করে এই মিশ্রণটি দিয়ে কুলকুচি করুন। আরাম পাবেনই। ঘাও থাকবে না।

কী করতে হবে প্রচুর পানি পান করুন। লবণ-পানি দিয়ে বারবার কুলি করুন। মেডিকেটেড মাউথওয়াশ বা অ্যান্টিসেপটিক জেল ব্যবহার করতে পারেন। মাড়িতে প্লাক জমলে তা অবশ্যই স্কেলিং করিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঠিক চিকিৎসা বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভিটামিন ‘বি’-র স্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখ অপরিষ্কার, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। ধূমপান, জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা।

প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন।

এই বিভাগের আরো খবর