মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভাতার আওতাভুক্ত হলেন নকলার সেই শহরবানু ও নাতি আসাদুল

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সেই শারীরিক, বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসাদুলকে সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা এবং শিশুটির দাদী শহরবানুকে স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কর্মসূচীর আওতায় অর্š‘ভুক্ত করে তাদের মাঝে ভাতার বহি বিতরন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১লা সেপ্টম্বর) বিকেলে তাদের মাঝে এই ভাতা বহির কার্ড বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান।

এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী আরেফিন পারভেজ, চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান বলেন, শহরবানুকে বিধবা ভাতা ও নাতিকে প্রতিবন্ধি ভাতা কার্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষ থেকে আসাদুলকে তার চলাচলের সুবিধার্থে একটি হুইলচেয়ার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জমি আছে ঘর নাই প্রকল্প থেকে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। শহরবানুকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আপাতত কারো কাছে যেনো হাত পাততে না হয় সেজন্য গতকাল দুই সপ্তাহের বাজার সদাই তার বাড়িতে দিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রান্না ও গোসলসহ অন্যান্য কাজের সময় শারীরিক, বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু আসাদুলকে ছোট একটি গর্তে রেখে যান দাদি শহর বানু। কারণ শিশুটি একা বসে থাকতে পারেনা। বিছানায় শোবার সময়ও তাকে ধরে রাখতে হয়। তা না হলে বিছানা থেকে সে পড়ে যায়। ঘরের ভেতর গর্তে প্রতিবন্ধী নাতিকে রেখে দাদি শহর বানু রান্নাবান্নাসহ আনুষঙ্গিক কাজ করেন। ভিক্ষা করে জীবন যাপন করেন দাদি শহরবানু। বাঁশের ছোট ভাঙা ঘরে প্রতিবন্ধী নাতিকে নিয়ে থাকেন শহর বানু। এই খবরটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে স্থানীয় প্রশাসনের দৃস্টি গোচর হয়।

এই বিভাগের আরো খবর