শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী যা নির্দেশনা দিলেন

ডেস্কনিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যার্তদের যত রকমের সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন সবগুলো করতে হবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের এই সময় যেহেতু বন্যা, তাই একটু বেশি কেয়ারফুল থাকতে হবে। সব মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠেই থাকবেন, মানুষের পাশে থাকবেন।

সোমবার (২৭ জুলাই) মন্ত্রিসভা বৈঠকের আলোচ্যসূচির বাইরে অনির্ধারিত আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বৈঠকে বন্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্য যদি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে তা মোকাবিলা করার জন্য ফিল্ড লেভেলে ইন বিল্ড একটা ম্যাকানিজম আছে।

তারপরও একটা এক্সট্রা অ্যাফোর্ড দেয়া হচ্ছে, বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া আছে। কারণ হলো উদ্বেগ আছে যে, চলতি বছর বন্যার পানি নামতে কিছুটা দেরি হতে পারে। যদিও পানি এখন কিছুটা নামছে।’

প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কর্মসূচিগুলো ভালোভাবে সময়মতো কার্যকর করার ক্ষেত্রে জোর দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বন্যায় আমনের ক্ষতি হলেও পলির কারণে বন্যার পরের সুফলটা নিতে কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

উঁচু এলাকায় আমনের ফলন ভালো হবে বলে বৈঠকে বিস্তারিত জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি পরিস্থিতির পুরো ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে রোপা আমনে যেনো আমরা খুব অ্যাটেনটিভ থাকি, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ’

যেখানে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই, সেখানকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় বন্যাকবলিত মানুষ যাতে আশ্রয় নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।

বন্যাদুর্গত এলাকায় স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ব্যবস্থা করতে বিশেষ করে করে গরু- বাছুরের ভ্যাকসিনগুলো ঠিকমতো দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে বন্যা শুরু হয়েছে গত ২৬ জুন। প্রথম ধাপে অন্তত ১০টি জেলায়, দ্বিতীয় ধাপে আরও আটটি জেলায় বিস্তার ঘটে বন্যার। ২৬ জুলাই পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেশের ৩১ জেলার নিম্নাঞ্চল তিন ধাপে প্লাবিত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর