শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীর যে তিনটি স্থানে কেয়ামতের আগে বড় ধরণের ভূমিধ্বস হবে !!

ভূমিধস অর্থ হচ্ছে যমিনের কোন অংশ নিচে চলে গিয়ে বিলীন হয়ে যাওয়া। যেমন আল্লাহ বলেন,

فَخَسَفْنَا بِهِ وَبِدَارِهِ الْأَرْضَ

অতঃপর আমি কারূনকে ও তার প্রাসাদকে ভূগর্ভে প্রোথিত করলাম। (সূরা কাসাস : ৮১) কিয়ামতের পূর্বে তিনটি স্থানে বিশাল আকারের ভূমিধস হবে। এগুলো হবে কিয়ামতের বড় আলামতের অন্তর্ভূক্ত।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْنَ قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ فَذَكَرَمِنْهَا وَثَلَاثَةَ خُسُوفٍ: خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ

“দশটি আলামত প্রকাশ হওয়ার পূর্বে কিয়ামত সংঘটিত হবেনা। তার মধ্যে থেকে তিনটি ভূমি ধসের কথা উল্লেখ করলেন। একটি হবে পূর্বাঞ্চলে, একটি হবে পশ্চিমাঞ্চলে এবং আরেকটি হবে আরব উপদ্বীপে। [মুসলিম, অধ্যায় : কিতাবুল ফিতান]
উম্মে সালামা [রা.] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছি-

سَيَكُوْنُ بَعْدِىْ خَسْفٌ بِالْمَشْرِق وَ خَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَ خَسْفٌ بِجَزِيْرَةِ الْعَرَبِ قُلْتُ: يَا رَسٌولُ اللَّهُ! أَ يُخْسَفُ بِالْاَرْضُ وَ فِيْهَا الصَالِحِيْنَ؟ قَالَ لَهاَ رَسُوْلُ اللَّهُ صلى الله عليه و سلم أَكْثَرَ أَهْلُهَا الخَبَثُ

আমি চলে যাওয়ার পর অচিরেই তিনটি স্থানে ভূমিধস হবে। একটি হবে পূর্বাঞ্চলে, একটি হবে পশ্চিমাঞ্চলে এবং আরেকটি হবে আরব উপদ্বীপে। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! সৎ লোক বর্তমান থাকতেই কি উহাতে ভূমিধস হবে? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, যখন পাপকাজ বেশী হবে।

এই ভূমিধসগুলো কি হয়ে গেছে?

কিয়ামতের অন্যান্য বড় আলামতের মতই এই ভূমিধসগুলো এখনও সংঘটিত হয়নি। এক শ্রেণীর আলেম মনে করেন ভূমিধসন তিনটি হয়ে গেছে। কিন্তু বিশুদ্ধ মতে এই আলামতগুলোর কোন একটিও এখনও প্রকাশিত হয়নি। এখানে সেখানে প্রায়ই আমরা যে সমস্ত ভূমিধসের সংবাদ পেয়ে থাকি সেগুলো কিয়ামতের ছোট আলামতের অন্তর্ভূক্ত।

আর যে সমস্ত ভূমিধসন কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার আলামত হিসেবে প্রকাশিত হবে তা হবে অত্যন্ত বড় আকারে। পূর্ব, পশ্চিম এবং আরব উপদ্বীপের বিশাল এলাকা জুড়ে তা প্রকাশ হবে। মোটকথা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে তিনটি ভূমিধসের খবর দিয়েছেন তা আখেরী যামানায় অবশ্যই সংঘটিত হবে। প্রতিটি মুসলিমের উপর তাতে বিশ্বাস করা ওয়াজিব।

এই বিভাগের আরো খবর