শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়ামতপুরে সাবেক চেয়ারম্যান ইছাহাকের নেতৃত্বে বেপরোয়া সন্ত্রাসী বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক : নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইছাহাক আলীর অরাজগতায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসি। ইছাহাক আলী উপজেলার ছাতমা পিরুপাড়া গ্রামের মৃত ফেলু মন্ডলের সন্তান। তার সন্ত্রাসী বাহিনী সার্বক্ষণিক পরিচালনায় করেন তার ছেলে উজ্জল হোসেন। এতে জড়িত রয়েছেন ছাতমা মধ্যপাড়া গ্রামের মানিক (মংলার)ছেলে নাম করা ডাকাত ও একাধিক মামলার আসামী মুন্তাজ আলী, মতিউর রহমানের ছেলে হামলাবাজ মিলন শাহা, শাজাহান আলীর ছেলে মাদক সেবনকারী হামেদুর চোরা , হজো শাহার ছেলে বদের আলী। এরা এলাকায় বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি , চাঁদাবাজি, হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারন মানুষদের ফাঁসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করছেন। তাদের কথায় রাজি না হয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের থাকতে হচ্ছে প্রাণ নাশের হুমকিতে।

সাবেক চেয়্যারম্যান ইছাহাক আলী বিগত জীবন কাল সম্পর্কে জানা যায়, ইছাহাক আলী চেয়্যারম্যানের ক্ষমতায় থাকা কালিন ছাতমা মৌজার বিষ্ণপদ বাহার ২২ বিঘা জমি তার শাশুড়ীর নামে জাল করে জেল খাটেন। দুস্থ মাতার ৪০ বস্তা চাউল চুরি করে সেই চাল চুরির মামলায় বিচারের রায়ে তিনি জেল খাটেন। বোর্ডের টাকা আত্মসাৎ করে, হিসাব দিতে না পারায় তিনি বোর্ডের কাগজ পত্র চুরি করে। বিষয়টির তদন্তে তিনি চোর সাব্যস্ত হওয়ায় জেল খাটেন। গরু প্রজনন উন্নয়নে একটি সরকারী ষাঁঢ় ছিলো তা জবাই করে খেয়ে জেল খাটেন। অনিয়ম ও দূর্নিতির কারনে জেলা প্রশাসক তাকে গ্রেপ্তার করতে পাঠালে তিনি একজন এস.আই কে মারধর করে জেল খাটেন। নির্বাচনে কারচুপি করায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা চলে এবং তিনি মামলায় হেরে পরিষদ থেকে বহিষ্কার হন।


ছাতমা গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে আরব আলী বলেন, আমি তার বিভিন্ন অপকর্মে প্রতিবাদ করায় ইছাহাক আলীর অপকর্ম প্রকাশ পায়। তাই তিনি প্রতিহিংসায় আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করে। বিগত দিনে তিনি আমার পরিবারের সদস্যদের ফাঁসানো পায়তারা চালিয়েছেন। সম্মানহানি মূলক ঘটনা সৃষ্টি করে ৭ মাসের গর্ভধারী গাভীকে বলৎকার হয়েছে নামে সে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন মামলার আসামী, ডাকাতের সদস্য ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে শালিসের ব্যবস্থা করে। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা হওয়ার কারনে তিনি স্বাক্ষী না পেয়ে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গাভী টাকে জবাই করে আমাদের বংশীয় সম্পত্তির উপরে পুতে রাখে। সেখানে সন্ত্রাসী বাহিনী হাসুয়া, লাঠি-শোটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিয়ে রাখে ও লাল কাপড় টাঙ্গিয়ে রাখে। বিষয়টি দিনের বেলা পরিদর্শন ও নাম বলতে অনিচ্ছুক ব্যক্তি মাধ্যমে জানা যায়। ইছাহাকসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী গাভী টাকে রাতের অাধারে চুরি করে নিয়ে এসে গাভী মাংসের লোভ সামাল দিতে না পেরে মাংস ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়ে চামড়া, হাড়, নাড়ী-ভুঁড়ি পুঁতে রাখে। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটানোর পর এলাকাবাসির মনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করে। এছাড়া বিষয়টি ধর্মীয় অনুভুতিতে একটি বড় আঘাত স্বরুপ।

তিনি আরো বলেন, ইছাহাক আলী সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে সর্বস্ত সে চাঁদাবাজি করায় অসংখ্য টাকা বাংকে জমিয়েছে। বর্তমানে সে টাকার গরমে হামলা পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকায় অবস্থান করছে। এমন বেপরোয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করলে এলাকায় শান্তি আসবে।

এলাকাবাসি সাবেক চেয়্যারম্যান ইছাহাক আলী বিরুদ্ধে বলেন, ইছাহাক অত্র এলাকার দাগী আসামী। টাকার লোভে ও ক্ষমতার দাপটে সে নিরীহ ও সাধারন মানুষের হোক নষ্ট করে থাকে। সন্ত্রাসী বাহিনী এনে জুলুম, দুর্নিতি, নির্যাতন, হামলা ও মিথ্যা মামলায় জীবন অতিষ্ঠ করে দিচ্ছে। তার অপকর্মে কয়েকবার জেল খেটে এখন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এমন ভাবে চলায় এলাকায় মানুষ আতম্কে বিরাজ করছে। দ্রুত তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা অনেকেই ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

এসকল অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী বলেন,অামার রাজনৈতিক মামলা হয়েছিলো,অামার অন্য মামলা ছিলো না বলে এড়িয়ে যান।

এই বিভাগের আরো খবর