বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুবাইয়ের মরুভূমিতে ‘মঙ্গলের শহর’

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক :  স্থাপত্য শিল্পে বরাবরই উচ্চাভিলাষী সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই দেশটির প্রতিটি শহরে বিশেষ করে রাজধানী দুবাইতে রয়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ আধুনিকতার ছাপ। এবার বিশ্ববাসীকে পৃথিবীতেই মঙ্গলে বসবাসের অনুভূতি দিতে চায় তারা। দুবাইয়ের বাইরে মঙ্গলের মতো দেখতে শহরের নকশা করেছেন দেশটির স্থপতিরা। এমন খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন।

মঙ্গলগ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। তাই মঙ্গলগ্রহের মতো দেখতে লালগ্রহের আদলে আশ্চর্যজনক স্থাপত্য গড়তে যাচ্ছে দুবাই প্রশাসন। এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকবেন আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান নিজেই। দুবাইর এই পরিকল্পনা গোটা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়কর উদ্ভাবন হতে চলেছে।

মঙ্গলগ্রহে কল্পিত শহরগুলোয় মানুষের বসবাসের অভিজ্ঞতা কেমন হতো, তা হাতে-কলমে দেখাতে চাইছে দুবাই। এক লাখ ৭৬ হাজার বর্গমিটার মরুভূমিতে ‘মার্স সায়েন্স সিটি’ তৈরি করবে দুবাই। যা প্রায় ৩০টি ফুটবল মাঠের সমান। এটি তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার।

দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন রশিদ মহাকাশ কেন্দ্র (এমবিআরএসসি) ‘বিজারকে ইঙ্গেল গ্রুপের’ স্থপতিদের মঙ্গলের শহরের নকশা করার অনুমোদন দেয়। তারা থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে শহরের স্থাপনাগুলো তৈরি করেন।

‘মার্স সায়েন্স সিটি’ নামের মঙ্গলের শহরটি দেখতে অনেকটা সারি সারি গম্ভুজের মতো মনে হবে। তবে ভূগর্ভস্থ ২০ ফুট দৈর্ঘ্যর কক্ষগুলো ক্ষতিকারক বিকিরণ ও উল্কাপিণ্ড থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

ইঙ্গেল গ্রুপের অংশীদার জ্যাকব ল্যাঙ্গে বলেন, ‘ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে ভূগর্ভস্থ গুহায় স্কাইলাইট থাকবে, যা অ্যাকোরিয়ামের মতো হবে। চারদিকে মাছ সাঁতার কাটবে। পানির জানালাগুলো ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলোয় আলো প্রবেশ করার সময় বাসিন্দাদের বিকিরণ থেকে রক্ষা করবে। তবে মঙ্গলে খোলা পরিবেশে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার মতো পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই। কিন্তু এখানে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে।’

এই আশ্চর্যজনক স্থাপত্য প্রকল্পের জন্য প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নিয়েছে দুবাই। ২০১৭ সালে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে মঙ্গলগ্রহের মতো কলোনি গড়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এই বিভাগের আরো খবর