শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুবে যাওয়া সেই লঞ্চটি পরিচালিত হচ্ছিল মাস্টার ছাড়াই !

ডেস্ক নিউজ : বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার সকালে ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি মর্নিং বার্ড লঞ্চটিতে সার্ভে সনদে একজন করে দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার ও ড্রাইভার থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে অভিজ্ঞ মাস্টার ও ড্রাইভার ছাড়াই লঞ্চটির অপারেশন পরিচালিত হচ্ছিল। সার্ভে সনদ ও ফিটনেস নেওয়ার সময় নৌ অধিদফতরে জমা দেওয়া কাগজে কলমে একজন দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার ও একজন ড্রাইভার দেখানো হলেও বাস্তবে ওই লঞ্চে কোনো মাস্টার ড্রাইভার কর্মরত ছিল না। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অনেক ছোট লঞ্চ মাস্টার ড্রাইভার ছাড়া দীর্ঘদিন পরিচালিত হচ্ছে। আমি দীর্ঘদিন থেকে বন্দর কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছি। এমন দুর্ঘটনার দায়ভার কোনোভাবেই তারা এড়িয়ে যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মাস্টার বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এমভি মর্নিং বার্ড লঞ্চটি অভিজ্ঞ মাস্টার ও ড্রাইভারের পরিবর্তে একজন সুকানী দিয়ে অপারেশন পরিচালনা করছিল। অভিজ্ঞ মাস্টার ড্রাইভারের বেতন বেশি হওয়ায় তাদের রাখতে অনীহা ছিল মালিক পক্ষের। এজন্যই লঞ্চটি দুর্ঘনায় পড়েছে বলে জানান তারা। প্রত্যক্ষদর্শী নয়ন, হাবিবসহ কয়েকজন যুগান্তরকে বলেন, পোস্তগোলা ব্রিজের পর থেকে লঞ্চ দুইটি পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে চলছিল। ওই সময় কেউই কাউকে সতর্ক করেনি। পাল্লা দিয়ে চলার এক পর্যায়ে ছোট লঞ্চটি বড় লঞ্চটির কাছে চলে এসে প্রচণ্ড জোরে এসে ধাক্কা খেয়ে উপুড় হয়ে মুহূর্তে তলিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার পরেই এমভি ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টারসহ সব স্টাফ পলাতক রয়েছে। পুলিশ একাধিকবার লঞ্চটিতে তল্লাশি চালিয়েও কাউকে আটক করতে পারেনি। নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর আরিফুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, লঞ্চটির সার্ভে রেজিস্ট্রেশনে একজন দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার ও একজন ড্রাইভারের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত রয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর