শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল বাড়ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে চীনের অবৈধ এজেন্ট হিসেবে কাজ করায় সিঙ্গাপুরের এক নাগরিক নিজের দোষ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটিই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বন্দ্বের সর্বশেষ ঘটনা।

মার্কিন বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জুন ওয়েই ইয়ো, যিনি ডিকসন ইয়ো নামেও পরিচিত, গতকাল শুক্রবার একটি ফেডারেল আদালতে চীনা সরকারের অবৈধ এজেন্ট হিসেবে কাজ করার কথা স্বীকার করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, জুন ওয়েই ইয়ো নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের রাজনৈতিক পরামর্শদাতাকে চীনা গোয়েন্দাদের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক গোপন করার অভিযোগে এক চীনা গবেষককেও আটক করা হয়েছে।

এর মধ্যেই চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর শেংদুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে চীন সরকার।

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরটিতে কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করার পদক্ষেপটিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে চীনের কনস্যুলেট বন্ধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বুধবার হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয় মার্কিন সরকার। একে ‘রাজনৈতিক উসকানি’ হিসেবে উল্লেখ করে চীন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, “চীন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ‘চুরি’ করছিল বিধায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়ান ওয়েনবিন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ চীনবিরোধী মিথ্যাচারের মিশ্রণ।’

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মধ্যে এমন পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করতে চাইনি। এর দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়।’

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বাণিজ্য, করোনা মহামারি, হংকংয়ে চীনের বিতর্কিত নতুন সুরক্ষা আইন আরোপ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায়।

এই বিভাগের আরো খবর