শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গার্মেন্ট শ্রমিকদের জুলাইয়ের বেতনও প্রণোদনায়

ডেস্ক নিউজ : শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দিতে আবারও সরকারের প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছেন রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা। ফলে এপ্রিল, মে ও জুনের পর চলতি জুলাই মাসের মজুরিও তহবিলের টাকা থেকে পাবেন শ্রমিকরা। তবে আগের মতো ২% নয়, এবার সাড়ে ৪% সুদ গুনতে হবে মালিকদের। বৃহস্পতিবার ৪৭টি ব্যাংকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, শেষবারের মতো চলতি জুলাই মাসের মজুরি দিতে তহবিল থেকে ঋণ পাবেন রফতানিকারকরা। গত জুনে যেসব উদ্যোক্তা ঋণ পেয়েছিলেন, তার বাইরে নতুন কেউ পাবেন না। ওই ঋণের বিপরীতে প্রথম তিন মাসের সার্ভিস চার্জ ২ শতাংশ। চলতি মাসের ক্ষেত্রে অবশ্য সেটি হবে সাড়ে ৪ শতাংশ।

এ ক্ষেত্রে সরকার সাড়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকি দেবে। পোশাক শিল্পের মালিকদের এ সুবিধা দেয়ার জন্য করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের চলতি মূলধন বাবদ ঋণ দিতে ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল বাড়িয়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে পোশাকের বিপুলসংখ্যক ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল হলে সরকার রফতানিমুখী খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দেয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করে। এপ্রিল, মে ও জুনে সেই তহবিলের অর্থ নিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। এরপর জুলাই-আগস্টের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে বিজিএমইএ ও বিটিএমইএ। সব বিবেচনা শেষে শুধু জুলাইয়ের বেতন দিতে সম্মত হয় সরকার।

জুলাই মাসের মজুরি দিতে রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজন ২ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। সরকারি-বেসরকারি ৪৭টি ব্যাংক এই ঋণ দেবে। বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশ পেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় মজুরির জন্য ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে সংক্রমণ রোধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ লকডাউন জারি করে। ফলে ওই সব দেশে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এতে গত মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। সব মিলিয়ে ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়। এপ্রিলে মাত্র ৩৭ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়। পরের মাসে তা ১২৩ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য জুনে খাতটি ঘুরে দাঁড়ায়, রফতানি হয় ২২৫ কোটি ডলারের পোশাক। চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে রফতানি হয়েছে ৯৮ কোটি ডলারের পোশাক।

এই বিভাগের আরো খবর