শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খয়রাতি ইস্যু: বাংলাদেশের কাছে আনন্দবাজারের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশকে ‘খয়রাতি’ বলে তোপের মুখে পড়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো, বিশেষ করে আনন্দবাজার পত্রিকাটি। এ নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) ওই পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনের চতুর্থ পৃষ্ঠায় এ ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকা ‘ভ্রম সংশোধন’ শিরোনামে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। সেখানে তারা লিখেছে ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শীর্ষক খবরে (২০-৬, পৃ ৮) খয়রাতি শব্দের ব্যবহারে অনেক পাঠক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী।’

এর আগে গত শনিবার ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই আপত্তিজনক শব্দটি ব্যবহার করে পত্রিকাটি।

ইতিমধ্যে এই প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তিনি এই শব্দ চয়নকে ভারতীয় মিডিয়ার ‘ছোট মানসিকতার পরিচয় বলে’ উল্লেখ করেন। এর মাত্র একদিন পরই ক্ষমা চাইলো আনন্দবাজার।

সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীন আমাদের প্রায় আট হাজার পণ্য ৯৭ শতাংশ বিনা শুল্কে রপ্তানির সুযোগ দিয়েছে। চীনের দেওয়া এমন সুবিধাকে আনন্দবাজারসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে খবর প্রকাশ করা মোটেও সমীচীন হয়নি। মিডিয়ার এই শব্দটি ব্যবহার ছোট মানসিকতার পরিচয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১৯ জুন জানায়, চীনের বাজারে আরও পাঁচ হাজার ১৬১টি পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে দেশটিতে মোট শুল্কমুক্ত পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল আট হাজার ২৫৬টি। এর ফলে চীনে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি পণ্যের ৯৭ শতাংশই শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় এলো।

সীমান্ত ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি চীনা সেনাদের সঙ্গে রক্তক্ষী সংঘাতের পর বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের এই বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সুনজরে দেখছে না নয়াদিল্লি। যে কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে এ জাতীয় সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। যদিও এ ধরনের সমালোচনাকে পাত্তা দিতে রাজি না বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই বিভাগের আরো খবর