শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাশির সিরাপ, ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজে তৈরি করুন।

কখনও গরম, কখনও বা ঠাণ্ডা, ঋতু পরিবর্তনের এই বিরক্তিকর সময়ে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা লেগেই রয়েছে। সব চাইতে বেশি যে সমস্যার সম্মুখীন কমবেশি সকলেই হয়ে থাকেন তা হচ্ছে সর্দি কাশি। যখন এই সর্দি কাশি বুকে বসে যায় তখন ঝামেলা অনেক বেশি হয়। নানা ধরণের ঔষধেও এই যন্ত্রণাদায়ক সর্দি-কফের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না।

প্রাচীনকালে মানুষজনের এইধরনের বুকে বসে যাওয়া সর্দি-কফের চিকিৎসায় ঘরোয়া প্রাকৃতিক পদ্ধতিই ব্যবহার হতো। এবং বেশ দ্রুতই মুক্তি পাওয়া যেতো এই সমস্যা থেকে। এর সব চাইতে ভালো বিষয় হছে, বাজারে যেসকল কফ সিরাপ পাওয়া যায় তা খেলে যে ঘুম ঘুম ভাব আসে এই প্রাকৃতিক কফ সিরাপে এই ধরণের সমস্যা একেবারেই হয় না। এবং বেশ দ্রুত আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন বুকে জমে থাকা সর্দি থেকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক ঔষধ।

গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ বাজার-চলতি কফ সিরাপগুলো শিশুদের শরীরে খিঁচুনি, ঝিমুনি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, কিডনি ও লিভারের ক্ষতিসহ নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই ঘরে বসেই তৈরি করে নিন কাশির সিরাপ। কিন্তু কিভাবে? আসুন তা জেনে নেয়া যাক-

উপকরণ:

১) ১ টেবিল চামচ যষ্টিমধু
২) ১ টেবিল চামচ তিল
৩) ১ স্লাইস লেবু
৪) ২৫০ মিলি লিটার পানি
৫) ২৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার

পদ্ধতি:

একটি প্যানে পানি ঢেলে চুলায় গরম হতে দিন। এতে দিন ব্রাউন সুগার বা ম্যাপেল সিরাপ। পানির সাথে পুরোপুরি গলিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে দিয়ে বাকি উপকরণ গুলো দিয়ে দিন। অল্প আঁচে ১৫ মিনিট চুলায় রেখে জ্বাল দিতে থাকুন মিশ্রণটিতে। ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে আলাদা করে নিন।

প্রতিদিন ৩ বার ১ টেবিল চামচ করে এই সিরাপটি খান। যতোদিন পর্যন্ত বুকের সর্দি একেবারে দূর হয়ে যাচ্ছে এভাবে খেতে থাকুন। দেখবেন বেশ দ্রুতই সর্দি থেকে মুক্তি পাবেন। তবে এই সিরাপটি ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন।

এই বিভাগের আরো খবর