শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কমেছে মুরগির দাম বেড়েছে সবজির

ডেস্ক নিউজ : সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। বাজারে মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। ডিম ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অপরিবর্তিত আছে গরু-খাসির মাংস, চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, রসুন, আদা ও তেলের দাম। গতকাল রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁও বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, পেঁপে-টমেটোর দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। অন্য সবজির দামও বেশি রাখা হচ্ছে। ক্রেতার পকেট কাটা হচ্ছে। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে টমেটো ও পেঁপের সিজন না হওয়ায় সেগুলোর বাড়তি দাম। তাছাড়া সবজির দাম সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। বাজারে জিনিসপত্র বেশি হলে দাম কমে, জিনিসপত্র সংকট হলে দাম বেড়ে যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি টমেটো (প্রকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধুন্দল-ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পুদিনা পাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে।

এ ছাড়া প্রতি হালি কলা (আকার ভেদে) ২০ থেকে ৩০ টাকা, প্রতি হালি ছোট লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় সাইজের লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, মহিশের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি দরে। গরু-খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে মুরগির বাজার। কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি লেয়ার ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। বেড়েছে ডিমের দাম।ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ডিমের বাজারে। প্রতি ডজন লাল ডিম (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা, কোয়েল পাখির ডিম প্রতি ১০০ পিস ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। এসব বাজারে প্রতি কেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি ৫৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, দেশি টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, হরিণা ৩৫০ থেকে ৫৪০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২২০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা। ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আদা (মানভেদে) ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার, খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার। প্রতি কেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা, মিনিকেট পুরান ৬০ টাকা, বাসমতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, আটাশ চাল ৪৪ টাকা, এক সিদ্ধ ৪০ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, পোলাওর চাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাংকর ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজি দরে।

এই বিভাগের আরো খবর