শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এডিপি বাস্তবায়ন একদশকে সর্বনিম্ন

ডেস্ক নিউজ : চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাস (জুলাই-মে) অতিবাহিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। এ হিসেবে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দকৃত ২ লাখ ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকার মাত্র ৫৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে। শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন করতে হলে চলতি মাসের মধ্যে ব্যয় করতে হবে আরও ৮৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বাস্তবায়ন বিবেচনায় এটি বিগত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।

রোববার পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইএমইডির একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তাতে তিনি বলেন, করোনার কারণে এবার চার মাস ঠিকমতো কাজ হয়নি। এর ফলে এডিপি বাস্তবায়নের হার অন্যান্য বছরের চেয়ে কম।

মে মাসে কাজ বন্ধ থাকলেও সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ছাড় হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারদের কাজের বিল পেতে অনেক সময় বাড়তি সময় লাগে। আগে জমা দেয়া অর্থ ছাড় হওয়ায় মে মাসে বড় অংকের এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। অনেক সময় কাজ শেষ হলেও অর্থ ছাড় দেরিতে হয়।

এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতিমূলক এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছর প্রথম ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ওই সময় ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। এবার শতকরা হিসেবে এডিপি বাস্তবায়নের হার কমার পাশাপাশি প্রকৃত ব্যয়ও ৪ হাজার ৬২২ কোটি টাকা কমেছে। করোনার প্রভাবে গত কয়েক মাস ধরে প্রকল্পের কাজে স্থবিরতা। কাজ না হলেও এ সময় অর্থ ছাড় হয়েছে। শুধু মে মাসে এডিপি বাস্তবায়নে ১৬ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

২০১০-১১ অর্থবছর থেকে আইএমইডির এ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত এক দশকের মধ্যে কোনো অর্থবছরই ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৬২ শতাংশের নিচে আসেনি। এ সময় সর্বোচ্চ ৭২ শতাংশ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। এ হিসেবে এবার এডিপি বাস্তবায়নের হার গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ১৫ হাজার ১১৪ কোটি টাকার এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছিল। বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে অর্থবছরের অর্ধেক পার হলে সংশোধন করে আকার নামিয়ে আনা হয় ২ লাখ ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকায়। প্রায় ১৩ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা কেটে নেয়ার পরও করোনা সংকটের কারণে এডিপি বাস্তবায়নে আর গতি আসেনি।

এই বিভাগের আরো খবর