শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উইঘুর মুসলিমদের উপর জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য চাপ দিচ্ছে চীন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের পশ্চিমাঞ্চলের উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের বিষেশকরে মহিলাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপর চাপ সৃষ্টি করছে দেশটির সরকার। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে এমনটাই প্রকার করা হয়েছে।

এর আগেও চীনে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এই বিষয়ে চীনকে সতর্কও করেছে বিট্রেন-আমেরিকা। তবে ফের উইঘুর সম্প্রদায়ের মহিলাদের উপর চীনা সরকারের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। যদিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এই তথ্যকে অসত্য বলে দাবি করেছে চীন।

এদিকে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থার দাবি, চীনের ‘এক সন্তান’ নীতির ফলে উইঘুর মুসলিম মহিলাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কেউ একের বেশি সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বিভিন্ন রকম হুমকি, জরিমানা এবং সারাজীবন হাজতবাসের ভয় দেখানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চীন দেশে এক সন্তান নীতি কার্যকর করতে উইঘুর সহ সংখ্যালঘু মুসলিম নারীদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। এমনকি তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা কিনা তা জানতে টেস্টও করা হচ্ছে। আর কেউ গর্ভস্থ অবস্থায় ধরা পড়ে গেলে তার ভ্রূণ নষ্ট করে দেওয়াসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

চীনের এই আচরন নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সব মহলেই। চীনা সরকারের এমন অমানবিক কাজকে বিশেষজ্ঞরা ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ বলে দাবি করেছেন।

শুধু তাই নয়, গোটা চীন দেশে এক সন্তান নীতি পুরোদমে কার্যকর করতে প্রতিদিন অন্তত এক হাজার মহিলার ভ্রূণ হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে কারও এক বা দুইয়ের বেশী সন্তান রয়েছে কিনা, এছাড়াও কেউ দুইয়ের বেশি সন্তান লুকিয়ে রেখেছে কিনা। আর কেউ যদি ধরা পড়ে যায় তাহলে তাকে দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা অথবা খাটতে হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

চীনের পশ্চিমাঞ্চল শিংজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী এই উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের জীবনে গত তিন চার বছর ধরে নেমে এসেছে এমনই অদ্ভুত খাড়া। যা অমান্য করলে বা ধরা পড়লে রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান। চীন সরকারের এই নীতির তীব্র সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলও। তবু পিছু হটতে নারাজ চীন।

সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর

এই বিভাগের আরো খবর