শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেল বহন নিষিদ্ধ

ডেস্ক নিউজ : আসন্ন কোরবানির ঈদের সময় যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেল বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বুধবার (২৯ জুলাই) থেকে আগামী ৪ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছে, সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করছে। সেখানে মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। মুখে মাস্ক পরা ছাড়া দেশের সব লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ ও যাত্রীবাহী লঞ্চে আরোহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। সেই সঙ্গে ঈদযাত্রা উপলক্ষে ২৯ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহ সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেল বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

লঞ্চ মালিক ও বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত গত ৩১ মে’র বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমিত পরিসরে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। সেই সময় থেকেই লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ জীবাণুমুক্ত করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী পরিবহন করছেন। এর আগে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ঈদের পূর্বে পাঁচদিন ও পরের তিনদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। সূর্যাস্তের পর সব ধরনের মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের আগে ও পরে ৯ দিনের বেলায়ও সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে কম্প্রোমাইজ নয়। প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণীত গাইডলাইন/স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে যাত্রীসহ নৌযান চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ঈদ উপলক্ষে বুধবার লঞ্চ, ফেরি ও অন্যান্য জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ নিয়ে গত ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত এক সভায় ঈদে লঞ্চ চালানো নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় জানানো হয়, লঞ্চে যাত্রী ওঠার সময় থেকে চালক, মাস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাতে স্পিডবোড চলাচল বন্ধ থাকবে। স্পিডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। কোনোক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। সদরঘাট, নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে যাতে যাত্রী লঞ্চে/নৌযানে উঠতে না পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটগুলোয় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

এই বিভাগের আরো খবর