বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইঞ্জিনিয়ার জসীম স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলাকায় শিক্ষার আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

“শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড” কথাটি সর্বজন স্বীকৃত। অন্য দিকে জাতীয় জীবনে সার্বিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত শিক্ষা। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কচুয়া উপজেলার পাথৈর ইউনিয়নের মধুপুর বাজারস্থ জসীম টাওয়ার প্রকল্পে ইঞ্জিনিয়ার জসীম স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে এলাকাবাসীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাচার ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আবু ইউছুফ সরকার পবনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- দি ইউনিভার্সিটির অব কুমিল্লার পিএইচডি ফেলো ও স্কলার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর মুহাম্মদ আবু হানিফ খান।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, যোগ্য মানুষ হতে চাইলে শিক্ষার বিকল্প কিছুই নাই। সঠিক শিক্ষা নিলে বেকারত্ব থাকার থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। শিক্ষা ছাড়া বর্তমান বিশ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্বব নয়। ইঞ্জিনিয়ার জসীম স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্টার মাধ্যমে এলাকায় শিক্ষার আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজে শিক্ষার পরিধি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষার মাধ্যমে একটি সমাজ ও একটির রাষ্ট্রের উন্নয়ন করা সম্ভব।

মতবিনিময় সভায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দি ইউনিভার্সিটির অব কুমিল্লার বোর্ড অব স্টাস্টিজের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর এ.জে.এম বেলাল উদ্দিন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রকৃত শিক্ষায় আমাদের সন্তানদের গড়ে তুললে চাকুরী না পেলেও নিজেকে একজন দক্ষ কর্মী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। শিক্ষা নিয়ে বিদেশ গেলে চাকুরীর অভাব থাকবে না। কচুয়া উপজেলার মধুপুর গ্রামে পিছিয়ে পড়া শিক্ষা এখন সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে। সকলের সহযোগিতা পেলে ইঞ্জিনিয়ার জসীম স্কুল এন্ড কলেজ অন্যান্য মানসম্মত কলেজের ন্যায় এটিও একটি আধুনিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

ক্রিয়া ভাষ্যকার মোঃ কবির হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড. মোহাম্মদ লোকমান হাকিম, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ আর খান, বাংলাদেশ জাতীয় সুন্নী ওলামা মাশায়েখ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্টাতা সভাপতি হাকীম মাওলানা আনছার আহমদ সিদ্দিকী।

এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় সুন্নী ওলামা মাশায়েখ পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর নুর, স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মধুপুর বাজার ব্যবসায়ী আহমেদ সজিব বক্তব্য রাখেন।

মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিতি সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

মুঠোফোনে জাপান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন প্রধান বলেন, স্কুলের যাবার বয়স হলেও যে সকল শিশু অর্থাভাবে স্কুলে যেতে পারছে না তাদের মৌলিক শিক্ষা দেওয়াটা আমার লক্ষ্য যেন কচুয়াতে কোন অসহায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা শিক্ষার আলো না পেয়ে বেকার জীবন গ্রহন করেন। এর পাশাপাশি যে সমস্ত শিশুরা স্কুলে না গিয়ে শিশুশ্রম দিচ্ছে তাদেরও আমরা স্কুলে আনার চেষ্টা করব। আবার যারা স্কুলে গেলেও পড়াশোনা ‘কঠিন বিষয়’ মনে করে লেখা-পড়া বাদ দিয়েছে তারাও এই স্কুলের পড়ার সুযোগ পাবে। এক কথায় ‍সুবিধা বঞ্চিত শিশুরাই হবে আমাদের শিক্ষার্থী। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও জীবন ধারণের উপযোগী অন্যান্য সাধারণ জ্ঞানের মৌলিক শিক্ষার মাধ্যমে স্বশিক্ষিত মানুষ তৈরিতে ভূমিকা রাখতে চায়। ক্লাসের ফাঁকে জলবায়ু পরিবর্তন ও সুন্দরবনের উপকারী দিক ও তা রক্ষা বিষয়ক প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে চাই। আলোকিত হোক কচুয়া বাসী এটাই আমার প্রত্যাশা।

এই বিভাগের আরো খবর