বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, পুরুষেরা ৯টি লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবে।

১. সাধারন অবস্থায় আপনার হার্ট রেট ৭০ এর কাছাকাছি –

প্রথমত যেটা দেখতে পারেন, সেটা হচ্ছে আপনার সাধারন অবস্থায় হার্ট রেট। আইডিয়ালী কোন পরিশ্রম না করে, চা কফি না খেয়ে, আপনার হার্ট রেট থাকা উচিৎ ৭০ বা তার নিচে। যদি এটা এর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো সময় এসেছে কিছু কার্ডিও বা ফিটনেস বাড়ানোর ব্যায়াম করার জন্য যেটা আপনার হার্ট কে আরো শক্তিশালী এবং কার্যকরী করবে।

২. আপনার নখ হবে শক্ত এবং কিছুটা গোলাপী রঙের –

নখ কে আমরা সাধারনত খুব একটা পাত্তা দেইনা, কিন্তু এটা দেখেও আপনার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে একটা আইডিয়া নেয়া যায়। আইডিয়ালী, আপনার নখ হওয়া উচিৎ, শক্ত, গোলাপী, সারফেস হবে স্মুথ। নখে যদি সাদা সাদা দাগ থাকে এটা শরীরের মেটাবলিক সমস্যা, বা ডায়াবেটিস এর পুর্ব লক্ষন হিসেবে দেখা হয়। যদি নখ হলুদাভ হয়, শ্বাসতন্ত্রের কোন অসুখ থাকতে পারে, কাজেই সতর্ক হোন।

৩. আপনার ইউরিন এর রঙ Straw বা খড়ের রঙ এর মত –

আপনার ইউরিন এর রঙ, আপনি ভালভাবে হাইড্রেটেড কিনা এটা বুঝবার জন্য একটা চমৎকার উপায়। আপনার ইউরিন যদি হলুদ রঙ এর হয়ে থাকে, এটা বুঝায় আপনি যথাযথ পরিমান ফ্লুইড নিচ্ছেন না। এটা ছাড়াও আপনি যদি ইউরিন এ কোন রঙ পরিবর্তন লক্ষ করেন, কিছু সময় ধরে, অথবা লালচে, বা রক্ত আছে এরকম মনে হয়, তাড়াতাড়ি আপনার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিৎ।

৪. আপনার ২০ টি পুশ আপ করতে পারা উচিৎ –

আপনার শরীর এইমুহুর্তে কতটুকু সমর্থ, এটা বুঝবার একটা চমৎকার উপায় হচ্ছে, আপনি কোন রকম রেস্ট না নিয়ে, প্রোপারলী ২০টা পুশ আপ করতে পারেন কিনা, যদি না পারেন, তাহলে সময় এসেছে, আপনার শরীরের শক্তি এবং স্ট্যামিনা বৃদ্ধির জন্য ব্যয়াম শুরু করার।

৫. আপনি ১৫ মিনিটের নিচে এক মাইল দৌড়াতে পারেন –

আপনার কার্ডিওভাস্কুলার ফিটনেস এখন কি অবস্থায় আছে, তা বুঝবার একটা ভাল রাস্তা, আপনি ১৫ মিনিটের মধ্যে এক মাইল দৌড়ে আসতে পারেন কিনা। যত কম সময়ে এবং যত হার্ট রেট না বাড়িয়ে আপনি এটা করতে পারবেন, আপনার শরীর ততটাই ফিট।

৬. আপনার বাথরুম প্রতিদিন একই সময়ে হয় –

একটা সুস্থ, এবং কার্যকরী দেহে, বাথরুম প্রতিদিন হওয়া উচিৎ, এবং সেটা কম বেশি একই সময়ে হওয়া উচিৎ। যদি প্রতিদিন না হয়, অথবা নিয়মিতই পাতলা বা শক্ত হয়, লক্ষন খুব একটা ভাল নয়। সময় এসেছে আপনার খাদ্যাভ্যাস পাল্টানোর, পরিমিত ফাইবার নিচ্ছেন কিনা এটা খেয়াল করুন, তাতেও যদি কিছু না হয়, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৭. অ্যালার্ম ছাড়াই আপনি প্রতিদিন সকালে কম বেশি একই সময়ে উঠতে পারেন –

পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম শরীরের জন্য খুব-ই ভাইটাল। ঘুম না হওয়া, শুধুমাত্র আপনার শরীর কে ফ্যাটিগ ই করবেনা, এটা স্ট্রোক, ওবেসিটি, হার্ট ডিজিজ এরও রিস্ক ফ্যাক্টর। আপনার শরীর যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, শরীরের ভিতরের রিদম ঠিক ভাবেই চলার কথা, এবং সে ক্ষেত্রে কোন এলার্ম ছাড়াই, সকালে একটা নির্দিষ্ট সময়ে উঠতে আপনার সমস্যা হবার কথা নয়। এলার্ম ছাড়া কোন ভাবেই যদি উঠতে না পারেন, তাহলে সময় এসেছে, ঘুমের সময়টা কিছুটা এগিয়ে আনার। ছুটির দিনে বেশি ঘুমিয়ে পুষিয়ে দেওয়াটা শরীরের জন্য মোটেই স্মার্ট কোন পছন্দ নয়।

৮. আপনার ওজন আপনার আদর্শ ওজনের ৫ কেজির আশেপাশে –

আপনার ওভার অল স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝবার জন্য খুব ভাল একটা উপায় হচ্ছে আপনার ওজন। আপনার বি এম আই চেক করে আপনি আন্ডারওয়েট না নর্মাল, না ওবেস বা অভারওয়েট কিনা দেখে নিতে পারেন। আপনার শরীরে ফ্যাট কিরকম সেটা সম্বন্ধেও আইডিয়া থাকা উচিৎ। দুটা মিলিয়ে শরীরের অবস্থাটা বুঝতে পারবেন। ৪০ এর নিচে একজন পুরুষের বডি ফ্যাট থাকা উচিৎ ৮-১৯%। এর উপরে বয়স হলে ১১-২২%।

৯. ভারী কাজ বা ব্যায়াম বা দৌড়াদৌড়ি’র পর আপনার হার্ট রেট ৫ মিনিটের মধ্যে সাধারনে নেমে আসবে –

এটা দিয়েও সহজে বুঝতে পারবেন আপনার হার্ট কি অবস্থায় আছে। স্পেশালী ভারী ব্যায়াম বা কার্ডিও করবার পর আপনার হার্ট রেট যত তাড়াতাড়ি কমে আসবে, আপনি ততটাই স্বাস্থ্যবান।

কাজেই একটু সময় নিয়ে দেখে নিতে পারেন এই ব্যাপারগুলো, এবং কোন ডাক্তারের কাছে না গিয়েই নিজেই অনেকটা এসেস করতে পারবেন আপনার শরীর এখন কি অবস্থায় আছে, এবং শরীরের যত্ন নেবার সময় এসেছে কিনা।

এই বিভাগের আরো খবর