বুধবার, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.৫ শতাংশ

ডেস্ক নিউজ : মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে সুখবর দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পূর্বাভাস দিয়ে সংস্থাটি বলেছে- ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও বাজেটে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। আর বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে আগামী বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে এক শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। এডিবির ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার আরও বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর এই প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে। তবে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা প্রকাশ করেছেন, এই অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। সেই তুলনায় এডিবির প্রাক্কলন প্রায় এক শতাংশ কম।

এডিবির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ বলেছেন, কোভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাবের পরও বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা, বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ, দেশের ভেতরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষক, উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করা হলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত সচল করা যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষ যে কোনো দুর্যোগে টিকে থাকার ক্ষমতা অর্জন করেছে। যেটি অনেক প্রশংসার। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় এডিবি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৬০ কোটি ডলার ঋণ এবং ১৪ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে। আগামী অর্থবছরও এডিবির সহায়তা অব্যাহত থাকবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী এবং বাংলাদেশে এর প্রকোপে চলতি অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোভিড-১৯ এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের জন্যও ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিল।

কিন্তু মহামারীর মধ্যে দুই মাসের লকডাউন আর বিশ্ববাজারের স্থবিরতায় তা বড় ধাক্কা খেয়েছে। এই মহামারীতে রফতানি আয় তলানিতে ঠেকায় এবং রেমিটেন্স কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না বাড়ায় চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। সংস্থাটি বলেছে- তিন মাসের মধ্যে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবার সচল করা যাবে ধরে নিয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির এই প্রাক্কলন করা হয়েছে। মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, ক্ষতি কাটাতে ঘোষিত প্রণোদনা এবং অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোও বিবেচনা করা হয়েছে প্রতিবেদন তৈরিতে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগামী অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছর খাবারের দাম বৃদ্ধি এবং বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম বাড়ায় গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। এদিকে নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ ধরে রাখার প্রত্যাশা করা হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে প্রত্যাশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এই বিভাগের আরো খবর