শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন শুরু হচ্ছে

ডেস্ক নিউজ : বহুপ্রতীক্ষিত অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। তথ্যসচিব কামরুন নাহার, যুগ্ম সচিব এসএম মাহফুজুল হক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে সমস্ত অনলাইন নিউজপোর্টালের পক্ষে সরকার নির্ধারিত সংস্থাসমূহের অনাপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি পাবে। রাতে এ সংক্রান্ত তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হবে।

ড. হাছান বলেন, আজ আমাদের ওয়েবসাইটে যে তালিকা আপলোড হবে, সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের নাম হয়তো দেখা যাবে না। তার কারণ এটি নয় যে, তাদের ব্যাপারে ‘রিপোর্ট নেগেটিভ’। তাদের ব্যাপারে এখনও প্রতিবেদন না পৌঁছানোই এর কারণ। পরবর্তীতে অন্যান্য অনলাইন নিউজপোর্টালের ব্যাপারে অনাপত্তি প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোকে নিবন্ধনের অনুমতি দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তাই এ বিষয়ে কোনো উদ্বেগের কারণ নেই; কারও নাম বাদ পড়লেও হতাশ হওয়ার কারণ নেই। কারণ সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যে মাত্র কিছু নাম আজ আপলোড হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া।

সবার আগে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল ও অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে আমরা দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন সময় কিছু অনলাইন পোর্টাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ছড়ানো, চরিত্র হনন এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ার কাজে লিপ্ত হয়। এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই তদন্ত করা হয়েছে। যারা ইতিপূর্বে এগুলো করেছে তাদের ব্যাপারে সেই ধরনের রিপোর্টই আসছে। যেগুলোর ব্যাপারে ‘নেগেটিভ রিপোর্ট’ আছে, সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা যে ধরনের কাজ করেছে সেই ধরনের রিপোর্টই আসছে। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আমরা অনলাইনগুলো রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে অনলাইনগুলো মানুষের হাতে হাতে সংবাদ পরিবেশন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শুধুমাত্র ডাটা খরচ করে কিংবা ডাটা খরচ না করে যেখানে ওয়াইফাই আছে, সেখানে মানুষ সংবাদ পাচ্ছে। এটি একটি বড় ইতিবাচক দিক। এই ইতিবাচক দিকটা আমরা দেশ ও সমাজ গঠনে, সমাজের মনন তৈরিতে ও নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সঠিকভাবে তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারি। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। সমস্ত অনলাইন পোর্টালগুলো সম্মিলিতভাবে দেশ গঠনের জন্য কাজ করবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ইতিপূর্বে ভুল পথে হেঁটেছেন, তারা নিজেদের সংশোধন করে নেবেন- এটিই আমাদের প্রত্যাশা, জাতির প্রত্যাশা।

 

এই বিভাগের আরো খবর