মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক ৬ দফাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই: রানা বখতিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস উপলক্ষে বার্তা দিয়েছেন জানিয়েছেন অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রানা বখতিয়ার।

বার্তায় রানা বখতিয়ার বলেন, পূর্ব বাংলার জনগণের মুক্তি, স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিসাসে ৬ দফা একটি অন্যতম মাইল ফলক। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আন্দোলন আর ত্যাগের ইতিহাস। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাঙালির মুক্তি আন্দোলন-সংগ্রামকে ক্রমান্বয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর করে দেয়। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। এই ৬ দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপরিহার্যতা বিধৃত ছিল এ দাবিসমূহের মধ্যে। শেখ মুজিব এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবির্ভূত হলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা হিসেবে।

৬ দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে বারবার গ্রেফতার করে এবং তাঁর উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। কিন্তু এসব সত্ত্বেও তিনি ৬ দফার দাবি থেকে সরে আসেননি। তার নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে আমি ৬ দফার দাবি আদায়সহ জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নিহত সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনেও তা সবসময় অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে বিশ্বাস করেন রানা বখতিয়ার বলেন, আসুন, আমরা ৬ দফা আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করি।

এই বিভাগের আরো খবর


Mersin rus escortMersin rus escort