শনিবার, ৩রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  করোনাভাইরাসের কারণে যাত্রী চলা চলা কমে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে এমিরেটস এয়ারলাইন। তাই বিমান সেবাদানকারী প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি এক-দশমাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। এই সংখ্যাটা ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৯ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছেন দুবাইভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। খবর বিবিসির।

এমিরেটসের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করতে হচ্ছে। বিমান চলাচলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে চার বছর সময় লেগে যেতে পারে। ফলে কর্মী ছাঁটাই করতে হচ্ছে।’

আকাশপথে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবহন প্রতিষ্ঠানটি এই প্রথম তাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিল। করোনা সংকটের আগে ৪ হাজার ৩০০ পাইলট ও প্রায় ২২ হাজার কেভিন ক্রুসহ তাদের মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল ৬০ হাজারের মতো।

করোনা সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে লকডাউন আরোপে মার্চের শেষ দিক থেকে বিমান চলাচলে ব্যাপক ভাটা পড়েছে। এ কারণে আয় তলানিতে ঠেকেছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় এই এয়ারলাইনের। বিশাল আকৃতির ২৭০টি উড়োজাহাজে করে বিশ্বজুড়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা সংকটের আগে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫৭টি শহরে ফ্লাইট পরিচালনা করতো এমিরেটস। বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৫৮টি শহরে। প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, এই অচলাবস্থা থাকবে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জানা যায়, এমিরেটসের এ৩৮০ সুপারজাম্বো এয়ারবাস, যেগুলোতে ৫০০ যাত্রী বহন করা হয়, সেটির কর্মীদেরই বেশি ছাঁটাই করা হচ্ছে। বোয়িং ৭৭৭, যেটিতে কম যাত্রী বহন করা হয়, সেগুলোর কর্মীরা তুলনামূলক কম বিপদে রয়েছেন।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম এয়ারলাইন ব্যবসা। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ৭০০ এয়ারলাইন কোম্পানির প্রায় সাড়ে চার হাজার পাইলটকে ইতিমধ্যে  চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) জানিয়েছে, করোনা সংকটের কারণে এয়ারলাইনগুলোর সম্মিলিত নিট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এই বিভাগের আরো খবর


Mersin rus escortMersin rus escort